All products
All category
Sundarban Natural Honey (সুন্দরবনের প্রাকৃতিক মধু)
honey, Sundarban Natural Honey, Sundarban Natural Honey (সুন্দরবন প্রাকৃতিক মধু), সুন্দরবন প্রাকৃতিক মধু, Natural Honey, Orhanic Honey.

Sundarban Natural Honey (সুন্দরবনের প্রাকৃতিক মধু)
price
- 250
- 500
- 1 KG
Details:
- Warrantymoney back
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শ্বাসমূলীয় বন সুন্দরবনে প্রাচীনকাল থেকে একদল মানুষ মধু সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করেন,প্রাকৃতিক মধু বলতে বুঝায় মৌচাক কেটে সংগ্রহ করা মধু।
প্রাকৃতিক মধু সংগ্রহের জন্য মৌয়ালরা সুন্দরবনের গহীনে চলে যায়। মৌয়ালরা মধু সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন নৌকাতে করে চাকের খোঁজে পাড়ি জমায় বনের গহীনে।
প্রায় দশ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের সুন্দরবনের জলে কুমির ডাঙায় বাঘ। বাংলাদেশ আর ভারত মিলে বিস্তৃত এ বনের বড় অংশটাই বাংলাদেশের বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলা জুড়ে।
সুন্দরবন, আমাদের গর্বের প্রতীক, যা পৃথিবীর সর্ববৃহৎ প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ বন। বাংলাদেশের মোট আয়তনের ৪.২ ভাগ এবং দেশের মোট বনভূমির ৪৪ ভাগজুড়ে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের সুন্দরবন। সুন্দরবনে যত প্রাকৃতিক সম্পদ আছে তার মধ্যে অন্যতম হল সুন্দরবনের মধু। সুন্দরবনের মধু পৃথিবীর বিখ্যাত মধুগুলোর মধ্যে অন্যতম। সুন্দরবনের মধু আহরণের উপর নিভর্র করে গড়ে ওঠেছে মৌয়ালি নামের এক ঐতিহ্যগত বননির্ভর পেশা ও জীবন।
সুন্দরবনের ভেতরে মধু সংগ্রহ করতে রাজস্ব দিয়ে বন বিভাগের অনুমতি নিতে হয় মৌয়ালদের।
মৌয়ালদের বনের ভিতরে ঢুকে মধু সংগ্রহের এ সুযোেগ মেলে তিন মাস। একবারে কেবল ত্রিশ দিনের জন্য অনুমতি পান মৌয়ালরা।
যাত্রার শুরুতে মৌয়াল দল নৌকায় প্রার্থনা করেন। মধু সংগ্রহ শেষে নিরাপদে ফিরে আসার প্রার্থনা জানান প্রভুর কাছে। প্রতি বছরই অনেক মৌয়াল নিরাপদে ফিরে আসতে পারেন না। বছররে গড়ে ৮ থেকে ১০জন মৌয়াল বাঘের আক্রমণের শিকার হন।
সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে মৌয়ালরা নৌকা নিয়ে ছোটেন সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে। প্রথা অনুযায়ী মৌয়ালরা বেজোড় সংখ্যায় জঙ্গলে প্রবেশ করেন। সাধারণত পাঁচ থেকে তেরোজন মৌয়াল থাকেন একেকটি দলে।
সাধারণত মৌমাছির গতিবিধি দেখে জঙ্গলে ঢোকেন মৌয়ালরা। মৌমাছির গতিপথ দেখে চাক খুঁজে পান তাঁরা। তবে চাক ভাঙার সিদ্ধান্তটি নেন দলনেতা, মৌয়ালরা যাঁকে বলেন বহরদার।
চাক খুঁজে পেলে বনের পাতা দিয়ে তৈরি করা হয় কারু। এই কারুতে আগুন জ্বালিয়ে ধোঁয়া তৈরি করা হয় চাক থেকে মৌমাছি তাড়ানোর জন্য।
বহরদারের অনুমতি মিললে জ্বালানো কারু নিয়ে গাছে চড়েন একজন। চাকে
ধোয়া দিয়ে পোকা তাড়িয়ে দেন।
পোকা সরে গেলে শুরু হয় চাক কাটা। নীচে বেতের তৈরি ধামা পেতে মধু ভর্তি কাটা চাক ধরেন আরেকজন। চাক কাটা শেষে মধু নিয়ে নৌকায় ফেরেন মৌয়ালরা।
সুন্দরবনের সবচেয়ে ভালো মানের মধু খলিসা ফুলের ‘পদ্ম মধু’। মানের দিক থেকে এরপরেই গরান ও গর্জন ফুলের ‘বালিহার মধু’। মৌসুমের একেবারে শেষে
আসা কেওড়া ও গেওয়া ফুলের মধু অপেক্ষাকৃত কম সুস্বাদু।
সারা বাংলাদেশে যে সমস্ত মধু পাওয়া যায় এগুলার মধ্যে স্বাদ,গুণে,মানে ও পুষ্টিতে সব দিক থেকে সুন্দরবনরে মধু সবচেয়ে উৎকৃষ্ট ও ঔষধি গুণে ভরপুর । সুন্দরবনে যে সমস্ত গাছের ফুলের মধু সংগ্রহ হয় তার মধ্যে অন্যতম হল খলিসা গাছ, গড়ান গাছ, কেওরা গাছ, বাইন গাছ ও গেওয়া গাছের ফুলের মধু। সুন্দরবনের মধু সংগ্রহ হয় চৈত্র, বৈশাখ, জৈষ্ঠ এই তিন মাস। সুন্দরবনে চৈত্র মাসে প্রথম যে মধুটা উৎপন্ন হয় তা হল খলিশা গাছের ফুলের হালকা লাল পদ্মা সবচেয়ে ভালো মানের মধু ।
মানের দিক থেকে এরপরেই গরান ও গর্জন ফুলের ‘বালিহার মধু, লাল কালারের হবে। তার পরে হবে কেওরা গড়ান একটু গাড় লাল। মৌসুমের একেবারে শেষে আসা বাইন ও গেওয়া ফুলের মধু অপেক্ষাকৃত কম সুস্বাদু।
এক সুন্দরবনেই তিন কালারের মধু উৎপন্ন হয়। আমরা সুন্দরবনের সবচেয়ে উৎকৃষ্ট মধু অভিজ্ঞ ও প্রশিদ্ধ মৌয়ালদের দ্বারা মধু আহরন ও সংগ্রহ করে, সারা বৎসর বাজারজাত করি তাই এ মধুর স্বকীয়তা, গুণগত মান নিয়ে আপনাকে আমরা শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারবো ইনশাল্লাহ।
Hello! 👋🏼 What can we do for you?
21:35